মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বুধবার তাইওয়ান ছাড়ার পরই পরই দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে চীনের এক ঝাঁক যুদ্ধবিমান। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানায়, ২০২২ সালের ৩ আগস্ট চীনের আশেপাশের এলাকা থেকে পিএলএ’র (চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি) ২৭টি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়েছে।
এদিকে, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকে তাইওয়ান দ্বীপের কাছে কয়েকটি সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড।
এ ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, তাইওয়ানের কাছে সাগরে চীনা সেনাবাহিনীর সামরিক মহড়া জাতীয় সার্বভৌমত্বকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় এবং ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র উস্কানিদাতা, চীন ভিকটিম। যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের যৌথ উস্কানি প্রথমে এসেছিল, চীনের ন্যায়সঙ্গত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পড়ে এসেছে।
চীনের হুমকির মধ্যেই এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছান।
এর পরই তাইওয়ান দ্বীপের কাছে পাঁচটি সামরিক মহড়া শুরু করে চীন। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে সীমান্তের কাছে বাড়ছে সাঁজোয়া গাড়ি এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
চীনা হুমকির প্রতিক্রিয়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব সীমান্তে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে হোয়াইট হাউস। পেলোসির নিরাপত্তার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে আমেরিকার যুদ্ধবিমানের বহরও ঢুকে পড়েছে।
পেলোসির তাইওয়ান সফর কূটনৈতিক এবং সামরিক দিয়ে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালের পর থেকে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্যস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা তাইওয়ান সফরে গেলেন।