সম্পদ জব্দ করলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শেষ, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

সম্পদ জব্দ করলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শেষ, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের প্রধান আলেক্সান্ডার দারশিভ বলেছেন, ভবিষ্যতে রাশিয়ার কোনো সম্পদ জব্দ করলে তা মস্কো-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারেই শেষ করে দেবে। গতকাল শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করলে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি হয়। রুশ অভিযানের জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর নজিরবিহীন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়। এমনকি ইউক্রেনে হামলার আগে মস্কোর যে পরিমাণ স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রার (৬৪০ বিলিয়ন ডলার) রিজার্ভ ছিল তার প্রায় অর্ধেক আটকে রেখেছে তারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা রাশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জব্দ করে ইউক্রেনের ভবিষ্যত অবকাঠামো পুনর্গঠনে ওই অর্থ কাজে লাগানোর ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ বিষয়ে আলেক্সান্ডার দারশিভ বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের মারাত্মক পরিণতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সাবধান করছি। এসব পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থায়ী ক্ষতি করবে, যা কারও কাম্য নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সম্পদশালী ব্যক্তিদের ইয়ট, হেলিকপ্টারসহ তিন হাজার কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন। গত মাসে দেশটির এক কৌঁসুলি জানিয়েছিলেন, রুশ ধনকুবেরদের সম্পদ জব্দের মাধ্যমে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় কংগ্রেসের কাছে আরও বিস্তৃত ক্ষমতা চাইছে।

অপরদিকে রাশিয়ার হাতে আটক মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনার ও সাবেক মেরিন সদস্য পল হোয়েলানের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে বন্দি অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিক্টর বোটকে ছেড়ে দিতে পারে বলে বেশ কিছুদিন ধরে কানাঘুষা চলছে। মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে বন্দি বিনিময় নিয়ে কথা চলছে তা নিশ্চিত করেছেন রুশ কর্মকর্তা আলেক্সান্ডার দারশিভ।

আন্তর্জাতিক