শান্তিরক্ষীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ বৃদ্ধি করতে হবে -মাসুদ বিন মোমেন

বাংলাদেশ মনে করে কর্মক্ষেত্রে শান্তিরক্ষীদের যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় তা সমাধানের জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ আরো বৃদ্ধি করতে হবে এবং এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সম্ভাব্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে জটিলতর পরিবেশে মাইন অপারেশন অ্যাকশান (গরহব ধপঃরড়হ রহ পড়সঢ়ষবী টঘ ঢ়বধপবশববঢ়রহম ড়ঢ়বৎধঃরড়হং) সংক্রান্ত এক সাইড ইভেন্টে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। সাইড ইভেন্টটি ইউএন মাইন অ্যাকশান সার্ভিস এর সহযোগিতায় যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া ও যুক্তরাজ্য মিশন।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আরো বলেন, তাৎক্ষণিক উদ্ভাবিত বিস্ফোরক এর হুমকি মোকাবিলায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও এ সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারকল্পে বিনিয়োগ আরো বাড়ানো প্রয়োজন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনকে লক্ষ্য করে ইম্প্রোভাইজড্ এক্সক্লোসিভ ডিভাইসেস্্ এর উপর্যুপরি ব্যবহারের বিষয়ে সাইড ইভেন্টে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং আইইডি ও ল্যান্ড মাইনে নিহত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এই ইভেন্টে আইইডি সংক্রান্ত হুমকি মোকাবিলা, মাইন অ্যাকশান ব্যবস্থাপনা এবং সমরাস্ত্র মজুত ও এর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ইউএন মাইন অ্যাকশান সার্ভিসে যে সকল সুবিধা রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকটি দেশ মাইন অপসারণ, মাইন নিষ্ক্রিয়করণ, আইইডি চিহ্নিতকরণ এবং এর অপসারণের ক্ষেত্রে তাঁদের অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
এই সাইড ইভেন্টে প্যানেল আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন ইউএন মাইন অ্যাকশান সার্ভিস এর পরিচালক এগনেস মারকাইয়ু। এছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের স্থায়ী মিশনের সামরিক উপদেষ্টাবৃন্দ। যৌথ আয়োজক হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তেকেদা এলিমু ও এ সভায় বক্তব্য দেন।

জাতীয়