রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রি জারি করেন। যেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়ার যেসব নারী ১০ বা তার বেশি সন্তান জন্ম দেবেন তাদের ‘মাদার হিরোইন’ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। এর আওতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেক রুশ নারীকে দেওয়া হবে ১০ লাখ রুবল, সেই সঙ্গে প্রদান করা হবে রাশিয়ার পতাকা খচিত একটি স্বর্ণপদক।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
শিরোনাম
এশিয়া কাপে রোহিতরাই ফেভারিট, বললেন সৌরভবগুড়ায় নানা আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপনজন্মাষ্টমী উপলক্ষে মোরেলগঞ্জে শোভাযাত্রাভোলায় মেঘনায় বাড়ছে জোয়ারের পানিকালিয়াকৈরে জন্মষ্ঠমী উৎসবচাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মাষ্টমী উদযাপনএরদোয়ানের যে কথায় ‘বিস্মিত’ জেলেনস্কিনিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতনিঝুম দ্বীপে ভেসে এলো বিদেশি জাহাজের বার্জসুদানে বন্যায় ৭৭ জনের মৃত্যু
১০ সন্তান জন্ম দেয়া নারীদের ১০ লাখ রুবল দেবেন পুতিন
ফাইল ছবি
১০ সন্তান জন্ম দেয়া নারীদের ১০ লাখ রুবল দেবেন পুতিন
অনলাইন ডেস্ক
১৯ আগস্ট, ২০২২ ০৯:১৯
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রি জারি করেন। যেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়ার যেসব নারী ১০ বা তার বেশি সন্তান জন্ম দেবেন তাদের ‘মাদার হিরোইন’ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। এর আওতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেক রুশ নারীকে দেওয়া হবে ১০ লাখ রুবল, সেই সঙ্গে প্রদান করা হবে রাশিয়ার পতাকা খচিত একটি স্বর্ণপদক। খবর ফক্সনিউজের।
জানা গেছে, দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে তাই নতুন এই প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। ১০ বা তার বেশি সন্তান ধারণের জন্য নারীদের ১৬ হাজার ৬৪৫ ডলার করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ার জনসংখ্যা প্রতি মাসে গড়ে ৮৬ হাজার করে কমেছে। মূলত দেশটির জনসংখ্যা বাড়াতে এ পুরস্কার চালু করা হচ্ছে।
যাতে শিশু জন্ম বৃদ্ধির হার হ্রাস না পায়।
তবে এ পুরস্কার পেতে হলে রুশ নারীদের একটি শর্ত পূরণ করতে হবে। সেটা হলো ১০ সন্তানকেই জীবিত থাকতে হবে। অবশ্য কোনো সন্তান সন্ত্রাসী হামলা বা সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধে মারা গেলে ছাড় পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ‘মাদার হিরোইনের’ প্রবর্তক ছিলেন সাবেক রুশ শাসক জোসেফ স্টালিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১০ সন্তানের জননীদের এ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এ পুরস্কার প্রথা বিলুপ্ত হয়। এবার সেটিই পুনরায় চালু করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
দম্পতিদের অধিক সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিলেন তিনি।