দুই ছক্কার রহস্য কী? জানালেন নাসিম

দুই ছক্কার রহস্য কী? জানালেন নাসিম

নাটকীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল শ্রীলঙ্কারও। দুই দলেরই দুটি করে জয়। গতকাল আফগানিস্তানের সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতেরও।এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

ফজল হক ফারুকী আর ফরিদ আহমেদের জোড়া আঘাত, ১১৮ রানে নেই ৯ উইকেট পাকিস্তানের। জয় তখন আফগানিস্তানের হাতের মুঠোয়, শেষ ওভারে আটকাতে হবে ১১ রান, প্রয়োজন এক উইকেট। ক্রিজে দুই বোলার নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।তারা আর কতটাই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে! মোহাম্মদ নবী হয়তো এমনটাই ভাবছিলেন।

কিন্তু স্ট্রাইকে থাকা নাসিম ভাবছেন উল্টো কিছু। দুটি ছয় মারলেই তো ফল তাদের পক্ষে! ছক্কা হাকানোর দৃঢ় বিশ্বাস মনের মধ্যে গেঁথে নেন পাকিস্তানের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান। ফজলের প্রথম ফুল টস লং অফ দিয়ে উড়িয়ে সেই বিশ্বাস আরও বাড়িয়ে নিলেন।দ্বিতীয় বলেই আবারও একই বল, একই শট, একই জায়গা দিয়ে ছয়।

ফজল-নবীরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, এমন কিছু তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি শেষ ওভারের আগে।

নাসিমের শেষ জুটিতে সঙ্গী হাসনাইন আলী। আসিফের আউটের পর দায়িত্বটা নিজের ঘাড়েই নেন ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান, ‘যখন আমি গেলাম তখন আসিফ ছিল এবং আমার কাজ ছিল তাকে স্ট্রাইক দেওয়া। কিন্তু সে যখন আউট হলো দায়িত্বটা পড়লো আমার ওপর।

৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া ফজল করেন শেষ ওভার। তাকে নিয়ে কোনও ধরনের চাপে ছিলেন না নাসিম, ‘আমি যখন ব্যাট করতে গেলাম, তখনই আমার বিশ্বাস ছিল ছয় মারতে পারবো। আমি অনুশীলন (ছয় মারা) করি এবং আমি জানতাম তারা হয়তো ইয়র্কার করতে যাচ্ছে। বিশ্বাস রাখতে হয়, আমরা নেটে অনুশীলন করি এবং আমি আমার ব্যাটও বদলে ফেলেছিলাম, এটা কাজ করেছে। ’

এই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বললেন ৪ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা নাসিম, ‘যখন ৯ উইকেট পড়ে যায় তখন খুব কমই বিশ্বাস থাকে, কিন্তু আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল এবং এটা আমার জন্য স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে। ’

খেলাধূলা