বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও থামেনি লোডশেডিং। সারা দেশেই সরকারের পরিকল্পিত লোডশেডিং চলছে। গ্রামে অনেক এলাকায় মানা হচ্ছে না লোডশেডিংয়ের সময়সূচি। তবে ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলোতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। এখন বিদ্যুৎ না থাকার সবচেয়ে বেশি ভুগছে ঢাকা শহর ও এর আশপাশের মানুষ।
দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ছয়টি বিতরণ কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন পরিস্থিতির কথা জানা গেছে। তাঁরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম পাওয়ায় তাঁদের বাড়তি লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ঢাকায় গতকাল শ্যামপুর এলাকায় আট ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সময়সূচি দেওয়া হয়েছে আগে থেকেই। অনেক এলাকায় চলছে তিন থেকে চার ঘণ্টার লোডশেডিং।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশাল লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে গতবারের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতি কিছুটা শ্লথগতিতে আছে। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এনবিআর কর্মকর্তারা আশা করেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য আবারও গতি পাবে। রাজস্ব আদায় বাড়বে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। এ খাতে আদায় ২৩ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। এরপর আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতি ২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রথম তিন মাসে আয়কর খাতে ২০ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। এ খাতে লক্ষ্যের চেয়ে ১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে।