সহজ কথা যায় না বলা সহজে। সেই কাজটাই আজ করে দেখিয়েছে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। বোলিং তোপে জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে দেওয়ার পরও ম্যাচ জিততে হয়েছে শেষ বলের নাটকীয়তায় মাত্র ৩ রানে। যদিও এই ম্যাচটা অনায়াসেই ৪০ রানে জিততে পারতো বাংলাদেশ।
১২ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৬৯। সেই জিম্বাবুয়ের স্কোর ২০ ওভার শেষে ১৪৭, তারপরও হাতে ছিল ২ উইকেট। এই জয়ে ২ পয়েন্ট পেলেও নেট রানরেটের ঘর এখনও টাইগারদের মাইনাসে ভরা। আর সেই নেতিবাচক নম্বর সমীকরণে প্রভাব ফেলবে নিশ্চিত।
সে যাইহোক টানা ২ জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বসেছে ভারত। ফলে ওলটপালট গ্রুপ দুইয়ের হিসেব-নিকেশে। এখনও তাই কারও সেমিফাইনাল নিশ্চিত নয়।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ৩টি ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট জিম্বাবুয়ের। তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দেওয়া ক্রেগ আরভিনদের নেট রানরেট -০.০৫০।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় তাদের জায়গার কোনও পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ পাঁচ নম্বরেই রয়েছেন বাবর আজমরা। ৩টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের পয়েন্ট ২। তাদের নেট রানরেট +০.৭৬৫।
অন্য দিকে নেদারল্যান্ডস ৩টি ম্যাচ খেলে ৩টিতেই হেরেছে। বৃষ্টির জন্য তাদের কোনও ম্যাচ বাতিল হয়নি। তাদের পয়েন্ট শূন্য। নেট রানরেটেও সব থেকে পিছনে তারা। নেদারল্যান্ডসের নেট রানরেট -১.৯৪৮।
প্রত্যেক দলেরেই বাকি আছে ২টি করে ম্যাচ। সেই ম্যাচের জয়-পরাজয়েই আবারও ওলটপালট হবে সমীকরণ। একমাত্র ডাচরা ছাড়া এখনও কারো সেমির স্বপ্ন একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। যদিও বাংলাদেশকে কোনো হিসেব ছাড়া সোজা সেমি নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ও ভারতের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে হারাতে হবে।আর গ্রুপে সবাই পরাজয়ের স্বাদ পেলেও এখনও অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা।