বিশেষ প্রতিনিধি
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। গত বুধবার রাজধানীর পল্টন থানায় এই মামলাটি করা হয়।
আসামিরা হলেন, কাওসার গাজী, সোহেল মিয়া, তরিকুল ইসলাম শোভন, রুবায়েত তানভীর শোভন এবং মাসুদুর রহমান ইমন।
বৃহস্পতিবার মালিবাগে সিআইডির সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। পরে ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই বিলে সই করার পর সেটি আইনে পরিণত হয়।
সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্ন ফাঁসকারী প্রতারণা চক্রের প্রধান কাউসার গাজীকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তারা। তিনি জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারায় নিজেদের মতো করে প্রশ্ন তৈরি করে ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে তা ছড়িয়েছেন। আর তাদের ফাঁদে পড়ে এই প্রশ্ন কিনেছেন পরীক্ষার্থীরা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল জানান, কাউসার গাজীকে এ কাজে সহযোগিতা করতেন তার বন্ধু সোহেল মিয়া। তিনি অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা লেনদেন করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে তারা জানান, অতীতে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ছিলেন তারা। কিন্তু নজরদারির কারণে এবার প্রশ্ন জোগাড় করতে পারেননি। এরপর ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেডিক্যালের প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রচারণা চালায়। বিভিন্ন সাজেশন বই, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র একত্রে করে এই ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করেন।
নজরদারি চালিয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর কাজলা পার, দনিয়া, যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্টার খাতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত নয়টার দিকে বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাড্ডা থানার আলিফ নগর এলাকা থেকে তিনজনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রে আরও সদস্য আছে জানিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশা করছি তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে পারব।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।