কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের জয়ের নায়ক কে? সালেহ আলসেহরি, যিনি সমতা ফেরান? সেলিম আল দাওসারি, যিনি আর্জেন্টিনার গোলে দ্বিতীয় বার বল জড়ান? না কি মোহাম্মদ আল ওয়াইস? যিনি পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন সৌদির গোলের নীচে। এক বার পেনাল্টি ও তিন বার অফসাইড ছাড়া যাঁকে পরাস্ত করতে পারলেন না লিওনেল মেসিরা। গোটা ম্যাচে মোট সাত বার গোল বাঁচিয়েছেন আল ওয়াইস। তিনি না থাকলে হয়তো আরব্য রজনী দেখা যেত না বিশ্বকাপে।

যিনি পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন সৌদির গোলের নীচে। এক বার পেনাল্টি ও তিন বার অফসাইড ছাড়া যাঁকে পরাস্ত করতে পারলেন না লিওনেল মেসিরা। গোটা ম্যাচে মোট সাত বার গোল বাঁচিয়েছেন আল ওয়াইস। তিনি না থাকলে হয়তো আরব্য রজনী দেখা যেত না বিশ্বকাপে।বক্সের মধ্যে থেকে মেসির বাঁ পায়ের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন তিনি। নইলে খেলার শুরুতেই এগিয়ে যেত আর্জেন্টিনা।

প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় সৌদি। গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা।

তখনই গোলের নীচে আরও লম্বা হয়ে দাঁড়ালেন আল ওয়াইস। ৬৩ মিনিটের মাথায় লাউতারো মার্টিনেজের শট আটকে দেন তিনি।৭২ মিনিটের মাথায় গোল করার চেষ্টা করেন ডি মারিয়া। কিন্তু পারেননি। বল ধরে ফেলেন আল ওয়াইস।

দু’মিনিট পরেই নিজের বক্স ছেড়ে বেরিয়ে এসে মার্টিনেজের পা থেকে একটি বল বার করে দেন আল ওয়াইস। নইলে গোল করার সুযোগ বাড়ত মাটিনেজের।৮৪ মিনিটের মাথায় মেসিকে আবার আটকে দেন আল ওয়াইস। ডি মারিয়ার ক্রস ধরে হেডে গোল করার চেষ্টা করেন মেসি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল ধরে নেন আল ওয়াইস।

অতিরিক্ত সময়েও দু’বার রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আল ওয়াইস। এক বার মাটিনেজ ও পরের বার আলভারেজের হেড বাঁচিয়ে দেন তিনি। তাকে টপকে গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা। ফলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হেরে শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। তার মধ্যে এক বার তারা উঠেছে ফাইনালেও।

আন্তর্জাতিক