মানবদেহকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে কিডনি। এটি দেহ থেকে টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। কিডনি যেন সঠিকভাবে সাহায্য করে সেজন্য পরিমিত পানি পান করা প্রয়োজন। অনেকসময় টক্সিন জমে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা কিডনি পরিষ্কার রাখতে এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। চলুন এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নিই-
চা (Tea)
কিছু মানুষ চায়ের প্রতি আসক্ত। অনেকে মাথাব্যথার ওষুধ হিসেবেও চা পান করেন। এই পানীয়টি কিডনি পরিষ্কার করতে সহায়ক। চা কিডনি ডিটক্স করতে সাহায্য করে। নেটল চা, ড্যান্ডেলিয়ন রুট এবং বারডক রুট সেবন করতে পারেন। তবে এই চা অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা যাবে না।
চেরি ও ক্র্যানবেরি (Cherry and Cranberry)
চেরি আর ক্র্যানবেরি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। টানা দুই সপ্তাহ এই দুটি ফল খেলে ইউটিআই-এর উপসর্গ কমতে পারে। সতেজ বা শুকনো, যেকোনোভাবে এগুলি খাওয়া যায়। চাইলে স্মুদি বা সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এই ফলগুলো দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা অনেক রোগের থেকে শরীরকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
ফলের জুস (Fruit Juice)
চিনি বা লবণ ছাড়া তাজা জুস খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। তাজা ফলের জুস কিডনির স্বাস্থ্য বজার রাখতে সাহায্য করে। এটি কিডনি পরিষ্কার রাখে। লেবু, কমলা বা তরমুজের রস পান করতে পারেন। এসব ফলে সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে। এসব জুস কিডনিতে পাথরের সমস্যা আটকায়।
পালং শাক (Spinach)
স্বাস্থ্যের জন্য সবুজ শাক-সবজি খুবই উপকারি। এগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পালং শাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন। এসব উপাদান কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ পালংশাক খান। এই শাক বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। এতে কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ে।
কিডনি ভালো রাখতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।