রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা থেকে নিজেদের অর্থনীতি বাঁচাতে সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। পাশাপাশি বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংকট আরও বেশি বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। তবে যেসব দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো, সেসব দেশ তুলনামূলক কম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বেড়েছে আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে। এ ছাড়া ডলার ও ইউরোর বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে না পারায় এসব দেশে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির চাপ। ফলে দেশগুলো তাদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে বৈদেশিক ঋণের দিকে ঝুঁকছে; যা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কৌশলে নেমেছে এসব দেশ। এতে দেশগুলোরে বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়ছে বলে মনে করে সংস্থাটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেকটাস জানুয়ারি, ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিষয়ে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে হতাশার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বব্যাংক ২০২৩ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসবে। বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক।বিস্তারিত