বাংলাদেশে ব্যবসায় নিয়োজিত প্রায় ৭১.৬ শতাংশ জাপানি কোম্পানি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউএনআইডিও আইটিপিও টোকিও এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) এর সাথে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
১০০ টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি ওয়েবিনারে অংশ নেয়। ওয়েবিনারে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, স্থানীয় আইটি ও আইটিইএস শিল্পের জন্য জাপান আগামী বছরগুলোতে খুব ভালো বাজার হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হার্ডওয়্যার উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশব্যাপী অবকাঠামোগুলো ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদনের পাশাপাশি প্রযুক্তি পণ্য উৎপাাদন করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও পরিষেবাগুলোর জন্য সাশ্রয়ী সুবিধা প্রদান করে বলে এ অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠা বা আউটসোর্স করতে আগ্রহী আন্তর্জাতিক কোম্পানীগুলোর জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে ওঠছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তরুণ ও শিক্ষিত একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা প্রযুক্তি গ্রহণ ও ব্যবহার করতে আগ্রহী। ফলে আইসিটি সেবা ও পণ্যের একটি বড় সম্ভাবনাময় বাজার তৈরি করছে।
তিনি আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ও নীতিগত প্রণোদনার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার জন্য জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাণিজ্য, ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং দক্ষ মানবসম্পদের প্রেক্ষিতে জাপান বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় দেশ।
তিনি বলেন, ‘জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু ও সম্প্রসারণের জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি’র (বিএইচটিপিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলাম ‘হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি এতে উল্লেখ করেন, বিএইচটিপিএ তার ওয়ান স্টপ সার্ভিস, বিভিন্ন প্রণোদনা যেমন ট্যাক্স এবং শুল্ক ছাড় সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে জাপানি বিনিয়োগকারী কোম্পানি বিজেআইটি ইন্টারন্যাশনালের সিইও মাসাকি হোরিকাওয়া বাংলাদেশে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
জেট্রো ঢাকা কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো ‘বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন এবং এতে উল্লেখ করেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল দেশ বলে মনে করে। সর্বশেষ জেট্রো জরিপ অনুসারে, ৭১.৬ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়।
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) ডঃ আরিফুল হক জাপানী বিনিয়োগকারীদের কাছে দূতাবাসের সহায়তা পরিষেবাগুলি ব্যাখ্যা করেন।
ইউএনআইডিও আইটিপিও টোকিও’র ইকুই তোশিনাগা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।