মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুর চিরিরবন্দরেএকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। আর এর প্রতিবাদে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠানে না পাঠিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। গত বুধবার থেকে এ ঘটনা ঘটছে উপজেলার ১২ নং আলোকডিহি ইউনিয়নের ১৫৪ নং গছাহার পীরেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য ৯জন সদস্য নির্বাচিত সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্য থেকে নির্বাচিত করা হবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি। চলতি মাসের ৮ তারিখে মনোনীত এ কমিটির সদস্যগন বর্তমান কমিটি সভাপতি প্রমথ কুমারের সভাপতিত্বে আলোচনা বসে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখানে সভাপতি পদের জন্য অভিভাবক সদস্য মহেশ চন্দ্র দেবনাথ ও এমপি মনোনীত বিদ্যুৎসায়ী সদস্য গোলাম রব্বানী তাদের নিজের নাম নিজেই প্রস্তাব করে। এতে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ওই সময় বিদ্যুৎসায়ী সদস্য সভাপতি পদপ্রার্থী গোলাম রব্বানী লিখিত আবেদনের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসাররের দাবি করে কমিটির কাছে এবং আগামী ১৫ ফেব্রয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অনুরোধ জানান। সে মোতাবেক গত ১৫ ফেব্রয়ারি নির্বাচনের তারিখ ধায্য করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোটিশ জারি করেন। কিন্তু নির্বাচনের পূর্ব দিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভোটারদের জানিয়ে দেন বিশেষ কারণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলো। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন প্রতিবাদী হয়ে উঠে এবং তাদের সন্তানদের ওই প্রতিষ্ঠানে না পাঠানোর সিদ্ধন্ত নেয়। ফলে গত ১৫ ফেব্রয়ারি (বুধবার) ও ১৬ ফেব্রয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থী শুন্য ছিল ওই প্রতিষ্ঠানে।পরে গতকাল শনিবার আবার খোজঁ খবর নিয়ে জানা যায় উক্ত প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থী নেই বললে চলে।
অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় ব্যাক্তি সদ্য চন্দ্র দেবনাথ ও প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, আমরা নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সভাপতি হিসেবে আসবেন তা মেনে নেব। নির্বাচন না হলে আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবো না।স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি সভা রানী দাস ও শরীফুল ইসলাম জানান, স্কুলের পরিবেশ রক্ষার জন্য গত ১৬ ফেব্রয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য।
এ ব্যাপারে কথা হয় প্রধান শিক্ষক পুলক চন্দ্র দাসের সাথে। তিনি জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নিশ্চিত। নির্বাচন করতে যা কিছু প্রয়োজন তা প্রস্তুত ছিল, এখনও আছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করা হবে।