ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠানো, সিট বাণিজ্য, সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও নানা অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। ফলে সংগঠনটির এসব কর্মকাণ্ডে বিব্রতবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা বলেন, ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ। এ ধরনের অভিযোগ তাদের জন্য অপ্রীতিকর, বিব্রতকর, লজ্জাজনক ও অপ্রত্যাশিত। ছাত্রলীগের একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। ছাত্রলীগের নামে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অপরাধীদের কোনো দল থাকতে পারে না। সে যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাই বিশ্বাস করেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ সময়ের আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, এটি নিশ্চয় আওয়ামী লীগের জন্য বিব্রতকর ও অপ্রত্যাশিত। একই সঙ্গে দেশের রাজনীতির জন্যও ভালো না। তবে আমি এখনও সব ঘটনা জানি না। আরও খোঁজখবর নিচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সময়ের আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের বর্ণাঢ্য একটি ইতিহাস আছে। ফলে এই সংগঠনটি যদি কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়, এতে সংগঠনের সব অর্জন ম্লান হয়ে যায়। এটি আওয়ামী লীগের জন্য বিব্রত। যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তাই সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আরও শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংগঠনের নেতাকর্মীদের এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া উচিত। এরপরেও যারা নিবৃত হবে না, তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।বিস্তারিত