আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়তা নিয়ে বিদেশিদের চাপ রয়েছে সরকারের ওপর। সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিকদের সফর কিংবা দেশে থাকা বিভিন্ন দেশের দূতদের বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া মানবাধিকারের বিষয়েও তারা সোচ্চার। এ অবস্থায় বিএনপিকে রাজনীতির মাঠে সুযোগ দেওয়া, দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার করা ও সংলাপে বসে সমস্যার সমাধানএসব কিছুতেই রাজি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক তা সরকার চায়। তাই যতটুকু ছাড় সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সবকিছুই দেওয়া হবে বলে বিদেশিদের জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিদেশিদের কাছে এ বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বোঝাতে চান, তার এ বক্তব্য কথার কথা নয়, অর্থবোধক।
এদিকে বিএনপিকে সংবিধানসম্মতভাবে সব সুযোগ দেওয়ার মনোভাব প্রদর্শন করা আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্য এক পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা। ‘তৃণমূল বিএনপি’কে নিবন্ধন দিয়ে সরকার বিএনপির ওপর পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করেও রাখতে চায়। গতকাল দলটিকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে গত বছরের আগস্ট থেকে বিএনপি সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন করে আসছে। ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ব্যাপক উত্তাপ ছড়ায়। একপর্যায়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত হামলা, সংঘর্ষে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগও শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আছে। কার্যত দুই দলই এখনো নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে।বিস্তারিত