উৎপাদন সক্ষমতা উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও গ্রীষ্ফ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েল চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা সম্ভব হবে না। ফলে বহু সচল বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল থাকতে পারে। রমজানেও বিদ্যুতের দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
জ্বালানি সংকটে গত বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ বিভাগ। দিনে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয় কোনো কোনো এলাকায়। জ্বালানি সংকটে এবার শীতেও কমবেশি লোডশেডিং করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মার্চ থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
চলতি বছরের প্রথম মাসেই দুই দফায় ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি দাম দিয়েও বিদ্যুতের ভোগান্তি থেকে মুক্তির আশ্বাস মিলছে না। আগামী মাসগুলোতে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়তে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আভাস দেওয়া হচ্ছে।
শীত শেষে হালকা গরম পড়ছে। চলছে সেচ মৌসুম। মার্চে তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে রমজান মাস। ফলে আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়ার উত্তাপের সঙ্গে সেচ ও রমজানের বাড়তি চাহিদা মেটাতে হবে বিদ্যুৎ বিভাগকে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। প্রকৃত চাহিদা এর চেয়েও বেশি বলে বিশ্নেষকরা মনে করেন।বিস্তারিত