অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীর হাতে হরহামেশা প্রাণ দিতে হচ্ছে অটোচালকদের। কখনো শুধু অটোরিকশার ব্যাটারির জন্য নির্মমভাবে খুন করা হচ্ছে চালককে। বন্ধুর হাতে বন্ধু খুনের ঘটনাও ঘটছে। গত এক দশকে দেশে ছিনতাইকারীদের হাতে শুধু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকচালক খুন হয়েছেন ৩ শতাধিক। এর বাইরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার, পিকআপ ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্যও ঘটছে হত্যাকাণ্ড। এসব ঘটনায় কিছু অপরাধী গ্রেফতার হয়ে সাজা পেলেও অধিকাংশই রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুন হওয়া চালকদের অধিকাংশ ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কেউ অটোরিকশা ভাড়ায় নিয়ে চালাতেন, কেউ ঋণ করে কিনেছিলেন অটোরিকশা বা ইজিবাইক। পরিবারের আহার জোগাতে অটোরিকশা নিয়ে বের হচ্ছেন চালক, এক-দুই দিন পর তার লাশ মিলছে ধানখেত, ডোবা, নালা, খাল বা রাস্তার পাশে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। সেই চুরি যাওয়া অটোরিকশার জন্য অনেক পরিবারকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ঋণের বোঝা। হত্যার শিকার অনেক অটোচালকের বয়স ১৫ বছরের কম। সম্প্রতি মামলা-সংক্রান্ত তদারক সেলের বৈঠকেও এই অপরাধ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় উদ্বেগ জানানো হয়।বিস্তারিত