নিজস্ব প্রতিবেদক
আগের দুই শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। তবে চিকিৎসা নিতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না।
নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
সচিবালয়ে রোববার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী এ দরখাস্ত করতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, এ দরখাস্ত তারা প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করে আসছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে থাকে।
‘খালেদা জিয়ার ষষ্ঠবারের মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তারা আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের মতো, আগের যে দুটো শর্ত ছিল, সেই দুটো শর্তসাপেক্ষে আবারও মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করছি।’
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এই মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পরিবারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন মানে তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না, তা নয়। তিনি হাসপাতালেও যেতে পারবেন। তবে তিনি এ সময়ে বিদেশে গমন করতে পারবেন না। এ দুই শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ আরও ছয় মাস স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
‘আমরা মতামত দিয়েছি। আমাদের মতামতের ভিত্তিতেই গত কয়েকবার এটা (দণ্ড স্থগিত) কার্যকর করা হয়েছে। আমি আশা করি এ মতামতের ভিত্তিতে এবারও সেটা কার্যকর হবে’, যোগ করেন আইনমন্ত্রী।