বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আবদুল আলী ফকির গড়ে তুলেছেন একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির নামে নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাটসহ সাত জেলার ব্যবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলার খোঁজ পায় পুলিশ। এরা প্রতারণার কাজে বিভিন্ন সময় প্রায় অর্ধশত সিম ব্যবহার করেছে। র্যাব-৬ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চক্রের হোতা আবদুল আলী ফকিরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে প্রতারকদের ০১৮৯০-৩৬৮২১৯ ফোন নম্বরে কল দিলে কলার আইডিতে ভেসে ওঠে ‘বিকাশ প্রতারক’ এবং ০১৭৮২-৫১৬৮৪৮ ফোন নম্বরে কল করলে কলার আইডিতে দেখা যায় ‘বাটপাড় দালাল’ নামে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করা। দুটি নম্বর একই ব্যক্তির। এদের প্রতারণার ধরন একটু অন্যরকম। কেউ পত্রিকায় জমি বা মূল্যবান জিনিস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলে প্রথমে ক্রেতা সেজে ফোন দেয়। এরপর ওই জমি দেখানো যাবে কি না জানতে চায়। যদি বলা হয় কেয়ারটেকার আছে সে দেখাবে। তখন জমির মালিকের কাছে কেয়ারটেকারের ফোন নম্বর চায়। পরে ওই কেয়ারটেকারকে ফোন করে বলে জায়গাটা দেখার জন্য সে রওনা দিয়েছে, এখন রাস্তায়। চলতি পথে তার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। তার কাছে ক্রেডিট কার্ড আছে কিন্তু কোনো নগদ টাকা নেই। বিস্তারিত