নোয়াখালীর মো. স্বপন (৩৭) গত বছর রমজান মাসে কর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যান। এ জন্য স্থানীয় দালালদের দিতে হয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কথা ছিল, দেশটিতে যাওয়ার পর চকলেট কারখানায় কাজ করবেন তিনি। তবে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর; কাজ জোটে রাজমিস্ত্রির।
এখানেই শেষ নয়, এক বছরের ‘ইকামা’ (অবস্থানের অনুমতিপত্র) পাওয়ার কথা থাকলেও স্বপনকে দেওয়া হয় মাত্র তিন মাসের। ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়েন তিনি। এখন বিভিন্ন পরিচিতজনের কাছে থাকছেন। স্বপন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বললেন, আরও ১০ বাংলাদেশি এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন।
কাজ নিয়ে বিদেশে যেতে হলে প্রত্যেক কর্মীকে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে নিবন্ধন (স্মার্ট কার্ড) নিতে হয়। এর আগে কর্মীর নিয়োগপত্র, রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়নের কপিসহ বেশ কিছু কাগজপত্র যাচাই করার কথা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই যাচাই ছাড়া দেওয়া হচ্ছে নিবন্ধন। বিএমইটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে এ কাজে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও আছে।বিস্তারিত