সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন ১৭ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম (প্রেস) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর শহিদুল ইসলাম ও মো. হেলাল, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন, মহেশখালীর মো. আসিফ ও সিফাত উল্লাহ, গাজীপুরের টঙ্গির মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের রকু মিয়া এবং যশোরের মোহাম্মদ নাজমুল ও রনি।
দূতাবাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বাসে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩৫ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন আহতাবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ছাড়াও নিখোঁজ আছেন ৫ বাংলাদেশি। ধারণা করা হচ্ছে তারা পুড়ে মারা গেছেন। পুড়ে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে বাংলাদেশি যাত্রী ছাড়াও অন্যান্য দেশের ১২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
cats
খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদির দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আকাবা শার নামক স্থানে একটি সেতুর সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষ হয় এবং উল্টে গিয়ে এটিতে আগুন ধরে যায়। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন। ব্রেকজনিত সমস্যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পর রেড ক্রিসেন্ট দলসহ জরুরী পরিষেবা সংস্থাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রেরণ করে। একইসঙ্গে তারা এলাকাটি ঘিরে ফেলে।
রমজান শুরু হলে সৌদি আরবে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ঘটনাটি পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় হজ ও ওমরাহ পালনকারী যাত্রীদের নিরাপদে পরিবহনকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় ৩৫ জন বিদেশি নাগরিক নিহত হন। একইসঙ্গে আহত হয় চারজন।