দেশত্যাগী বাঙাল দম্পতির সন্তান হিসেবে আপনার বড় হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
দীপেশ: ছেলেবেলায় আমাদের বাঙাল থেকে ঘটি হওয়ার প্রচেষ্টা ছিল। যেমন আমরা ‘ড়’ আর ‘র’–এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারতাম না। চন্দ্রবিন্দুর কারণে অনুনাসিক ধ্বনির উচ্চারণ আমাদের আসত না। কবিতা ‘আ–বৃত্তি’ করে নাকি ‘আব্বৃত্তি’ করে, তা ঠিকমতো বুঝতাম না। ‘আমার বনে বনে ধরল মুকুল,/ বহে মনে মনে দক্ষিণহাওয়া’ হবে, নাকি ‘আমার বোনে বোনে ধরল মুকুল, বহে মোনে মোনে দক্ষিণহাওয়া’ উচ্চারণ করতে হবে, এগুলো শিখতে হয়েছে। আমাদের বাঙাল বাড়িতে যাঁরা এগুলো শেখাতেন, তাঁরা একটু–আধটু অত্যাচার করতেন। আমার এক জ্যাঠামশাই বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি ছিলেন গণিতের শিক্ষক। সেখানে গিয়ে আমি এভাবে গাইলে চাচাতো বোনেরা বলত, উচ্চারণ ভুল হচ্ছে। যিনি আমাদের গান শেখাতেন, তিনিও তো বাঙাল। তাকেও এ বিষয়গুলো শিখতে হয়েছে। বাঙালদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথও ঠাট্টা করতেন। ছিন্নপত্র–এ তিনি লিখেছেন, ‘ঘোড়ার’ কথাকে বাঙালরা বলে ‘গোরা’র কথা। বাঙাল অ-সভ্য, তাকে সভ্য করতে হবে। ঠাট্টা হলেও ছোটবেলায় এটা আমাদের শুনতে হয়েছে।বিস্তারিত