বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

ডলারের মানের তারতম্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিশন আরোপিত ক্রমবর্ধমান সুদ হারের মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। পাশাপাশি গত নভেম্বরের পর বেঞ্চমার্ক সবচেয়ে দুর্বল অবস্থার দিকে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক বাজার ব্রেন্টের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ বেড়েছিল। সম্প্রতি ৬৩ সেন্ট বা দশমিক ৮ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেলের দাম ৭৮ ডলার ৬৪ সেন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪৪ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭৩ ডলার ৯৩ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত এর মূল্য ৭ শতাংশ বেড়েছে। ব্রেন্ট ও ক্রুড অয়েলের চুক্তিমূল্য ৬ ও ৪ শতাংশ কমার বিষয়ে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।

২০০৮ সালের পর ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বড় ধরনের সংকট পার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আমেরিকা ও ইউরোপের দুটি ব্যাংক রক্ষার ঘটনা কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। কিন্তু জ্বালানি তেলের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরো গভীর। সম্প্রতি ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। সেখানকার উৎপাদনকারীদের অনেকেই সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি উৎপাদনও কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাবে মার্কিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নির্ভর কার্যক্রম মন্থর ছিল।

অকল্যান্ডের সিএমসি মার্কেটের বিশ্লেষক টিনা টেং রয়টার্সকে দেয়া বিবৃতিতে জানান, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক কোনো সংকেত দেয়, তাহলে বাজার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে। বিপরীতে নেতিবাচক তথ্য প্রভাব ফেলবে ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের নীতিতে।

দেশটির জ্বালানি তথ্য প্রশাসন থেকে জানানো হয়, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ গত ২৪ মার্চ অপ্রত্যাশিতভাবে কমে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।

সম্প্রতি ইউএস হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস মার্কিন তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে শক্তিশালী করতে একটি বিল পাস করেছে। এখানে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত উদ্যোগগুলো কমানো হয়েছে।

উত্তর ইরাকের আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে রফতানি পাইপলাইনের পাশাপাশি কয়েকটি তেলক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এছাড়াও মার্চে চীনের উৎপাদন কার্যক্রম বেড়ে যাওয়া

অর্থ বাণিজ্য আন্তর্জাতিক