রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুনটি আসলে নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা। এ নিয়ে সন্দেহ মার্কেটটির খোদ ব্যবসায়ী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। ইতোমধ্যে রহস্য বের করতে মাঠে গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এর আগে বঙ্গবাজারে বারবার আগুন লেগেছে। এবারও মার্কেট দখলের জন্য কেউ লাগিয়ে দিয়েছে কি না সন্দেহ। আগুনের কারণ খুঁজতে গতকাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একাধিক টিম এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
গতকাল বিকালেও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাশকতার কোনো ঘটনা থাকলে কমিটির তদন্তে বের হয়ে আসবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নেব।’
গতকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। বেলা ১১টায় ৫০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এর পরও আগুন বেপরোয়া। ৫০টি ইউনিটের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী ও নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে বাহিনীর হেলিকপ্টার ইউনিট ও জলকামান। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৯২টি। এসব ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা।বিস্তারিত