চার বছর আগে রাজধানীর চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে পানির সংকটে নিয়ন্ত্রণে আসছিল না আগুন, ৭১ জন মানুষ পুড়ে হয়েছিল কয়লা। মঙ্গলবার বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আবারও ফুটে উঠল তীব্র পানি সংকটের মর্মান্তিক চিত্র। আশপাশে নেই এমন কোনো পুকুর বা খাল, যেখান থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভাতে পারে ফায়ার সার্ভিস। অবশেষে হেলিকপ্টারে দড়ি বেঁধে হাতির ঝিল থেকে পানি নিয়ে ছিটানো হয়েছে অগ্নিকুণ্ডে। সারা দেশে একের পর এক ঘটছে অগ্নিদুর্ঘটনা। রাজধানীতে অধিকাংশ সময় পানিস্বল্পতার কারণে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়ছেন ফায়ার ফাইটাররা। সরু রাস্তায় পানি বহনকারী গাড়ি প্রবেশ করতে বাধছে বিপত্তি। ভরাটের দৌরাত্ম্যে উধাও হয়ে গেছে রাজধানীর খাল, পুকুর, জলাশয়। নগরীর রাস্তা, কারখানা, হোটেল, অধিকাংশ শপিং মলে নেই ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবস্থা। এতে আগুনে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। ১৯৮৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ৩৮ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ঢাকার ১ হাজার ৯০০ সরকারি-বেসরকারি পুকুর ও জলাধার। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) এক সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সাড়ে তিন দশকে হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল।বিস্তারিত