ঢাকার সৌদি দূতাবাস থেকে ঘুষের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশেও তদন্ত শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ তদন্তে নেমেছে। এরই মধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের অর্থ-সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে শুরু হয়েছে চিঠি চালাচালি। অর্থ-সম্পদের বিষয়টি সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সিআইডি।
গতকাল রোববার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ৫ মার্চ এ ঘটনায় সৌদি কর্তৃপক্ষ ঢাকা দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ আট বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, সৌদি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির কয়েকজন মালিক ২১৫ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছেন। পুরো অর্থ নেওয়া হয়েছে হুন্ডির মাধ্যমে। হুন্ডিতে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গুলশান ও বনানীর দুটি মানি এক্সচেঞ্জের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো ফেডারেল মানি এক্সচেঞ্জ, অন্যটির নাম সমকাল জানতে পারেনি। গত বছরের অক্টোবর থেকে এ দুটি মানি এক্সচেঞ্জ অর্থ পাচারে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া সাতটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।বিস্তারিত