রাজধানীর মাদানি এভিনিউ। নতুন বাজার থেকে বেরাইদ পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে প্রাইভেট কার, অটোরিকশা ও বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনে-রাতে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলে ব্যাটারিচালিত যান্ত্রিক রিকশা। ফাঁকা রাস্তায় এসব রিকশার গতি উঠে যায় ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গত ৬ এপ্রিল মাদানি এভিনিউতে কুকুর দেখে ব্রেক কষতে গিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় একটি যান্ত্রিক রিকশা। আহত হন দুই যাত্রী ও রিকশাচালক। গতকাল নির্মাণাধীন অনন্ত হোটেলের কাছাকাছি সড়কে একটি দ্রুতগতির রিকশা হঠাৎ বামে টার্ন নেওয়ায় পেছনে থাকা একটি মোটরসাইকেল ও দুটি রিকশার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সর্বোচ্চ শক্তিতে ব্রেক কষার কারণে বড় কোনো ক্ষতি না হলেও রিকশার মতো হালকা যানবাহনে অস্বাভাবিক গতির কারণে সড়কটিতে হরহামেশা ঘটছে দুর্ঘটনা।
পুরো রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক লাখ লাখ যান্ত্রিক রিকশা। এতে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব রিকশা নিবন্ধিত না হওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অটোমোবাইল বিভাগের প্রধান ও চিফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী রহমত উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যন্ত্রচালিত এসব রিকশা দ্রুত যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি চালকদের কষ্ট কমিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, যানবাহন তৈরিতে ওজন, গতি, চাকার আকার, সাসপেনশন, ব্রেকিং সিস্টেম সবকিছু বিজ্ঞানসম্মতভাবে সমন্বয় করতে হয়। যন্ত্রচালিত রিকশায় ব্রেক, সাসপেনশন কিছুই ঠিক নেই। ওজন কম। যানবাহনের তুলনায় চাকা বড়। এই যানবাহন দ্রুতগতিতে চলার সময় যে গতি জড়তা তৈরি হয়, হঠাৎ ব্রেক করলে ভারসাম্য রাখতে পারে না। উল্টে যায়।বিস্তারিত