রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ তাপপ্রবাহ মরুভূমির মতো গরম নিয়ে বইছে নজিরবিহীনভাবে। এতে ঘরের বাইরে যারাই বের হচ্ছেন তাদের গায়ে জ্বালাপোড়া করছে। এবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার সঙ্গে নতুন সমস্যা হচ্ছে, অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যাচ্ছে। আর এটি হচ্ছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের ঘাটতির কারণে। বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থার জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। তারা পাশের দেশগুলোর নির্গত মাত্রাতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাসকে বাংলাদেশের উষ্ণায়নের জন্য দায়ী করছেন। এর সঙ্গে বৃক্ষনিধন, নদী হত্যা ও ভরাট, বায়ুদূষণ, খোলা জায়গার অভাবসহ মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলোকেও তাপপ্রবাহের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। জলবায়ু-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে এখন থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ৩০ বছরের মধ্যে গ্রীষ্মকালে দেশে গড় তাপমাত্রা ৩ থকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আর বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তখন ৪৬ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশনের (সিইজিআইএস) হিসাবে ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ০.০০৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিস্তারিত