পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের এবার গাজিপুর মহাসড়কে তেমন যানজটে পড়তে হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের চিত্র তেমন একটা দেখা যায়নি।
এক সেকেন্ডে রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করুন, চাপটি স্বাভাবিক হবে! উচ্চ রক্তচাপ কারা পায় তা পড়ুন.
সাবধান হও
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে যারা গাজীপুর ছেড়ে গেছেন এমন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাত্রাপথে তাদের কোথাও যানজটের কবলে পড়তে হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ থাকলেও নেই চিরচেনা যানজট। সড়কে যানজট না থাকলেও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কিছু গণপরিবহনের বিরুদ্ধে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কোনো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। যাত্রী সংকটের কারণে ঈদের আগে অনেক সময় নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে কম টাকা নেওয়া হতো। আর ঈদের সময় কোনো কম ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তাই যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন।
এদিকে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলার কারণে যানজট সৃষ্টি হতে পারে এমন ধারণা করা হলেও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে কোনো যানজট নেই।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো রয়েছে। যদিও সকাল থেকেই মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নানা শ্রেণি-পেশার ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে এবং যানবাহনেরও চাপ রয়েছে অনেক বেশি। মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ড বাজার, স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে। অতিরিক্ত সংখ্যক যাত্রীর তুলনায় কোনো কোনো রোডের যানবাহন কম রয়েছে। তাই নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে অনেকেরই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর এই সুযোগে একটু বেশি ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, এবারের ঈদযাত্রায় এই মহাসড়কের যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক ৩০০ ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্য ও রোভার স্কাউট মোতায়েন রয়েছে।