আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দলকে এখন থেকে সুসংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোট-মহাজোটের হিসাব পরে, আগে সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে নজর আওয়ামী লীগের। তাই পাঁচ প্রধান লক্ষ্য অর্জনের জন্য মাঠে নামতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। এর মধ্যে রয়েছে- পাঁচ সিটির আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন, সংসদে নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী বাছাই এগিয়ে রাখা। অন্যদিকে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সর্বাধিক প্রচার-প্রচারণা, সরকারবিরোধী অপপ্রচারের জবাব, জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে জনমত নিজেদের অনুকূলে নেওয়া। সবকিছুর মূলে রয়েছে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্য। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি সব সময়ই ছিল। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, এমপিরা রমজানে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে সক্ষম হয়েছেন। পাঁচ সিটিতে ভোট হবে। ওই ভোটে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সভানেত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী বাছাই, সরকারবিরোধী অপপ্রচারের জবাব, বিগত ১৪ বছরের সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরব। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মিটিয়ে ফেলা হবে। স্থানীয়ভাবে সম্ভব না হলে ঢাকায় ডেকে এনে সমাধান করব।’’বিস্তারিত