ভারতের মণিপুর রাজ্যে সেনাবাহিনীর তৎপরতার পরেও কয়েকদিন ধরে চলমান সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন। হিন্দুস্তান টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ঘর-বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। এছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। খবর দ্য বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ড।
রোববার (৭ মে) পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল থেকে ১৬ হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ দমনে নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করছে। এখনও কিছু জায়গায় উত্তেজনা চলছে।
সেনাবাহিনী বলছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পার্বত্য জেলা চুরাচাঁদপুর, মোরেহ এবং কাকচিং এখন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বৃহস্পতিবার রাত থেকে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, ‘আমরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে নিয়মিত ফ্লাইট এবং চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছি। নাগরিকদের নিরাপদ এবং সময়মতো প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
রাজ্যটিতে মূলত ৬০ শতাংশ মানুষই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, মণিপুরে মেতাই সম্প্রদায়কে আদিবাসী তফসিলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রদায়টি বিগত ১০ বছর ধরে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
মেতাইদের যাতে আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া না হয়, তারই দাবিতে বুধবার (০৩ মে) রাজ্যটির চূড়াচাঁদপুর জেলায় মিছিল বের করে আদিবাসী ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম। আদিবাসীদের দাবি, মেতাইদের তফসিলি স্বীকৃতি দিলে মণিপুরের প্রকৃত আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবারের মিছিল থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় দুই জনগোষ্ঠীর মধ্য সেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।