বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে মাঠ ও পার্ক নাগরিক সুবিধা আরও কমছে, সিটির অধিকাংশ বিনোদন স্থান ইজারা, নানা স্থাপনা নির্মাণে কমছে জায়গা, ইজারার নামে গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে : নগর বিশেষজ্ঞ

বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে মাঠ ও পার্ক নাগরিক সুবিধা আরও কমছে, সিটির অধিকাংশ বিনোদন স্থান ইজারা, নানা স্থাপনা নির্মাণে কমছে জায়গা, ইজারার নামে গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে : নগর বিশেষজ্ঞ

রাজধানীতে বসবাস করছে ২ কোটি মানুষ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার বা বিনোদনের জায়গা খুবই সীমিত। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মাঠ ও পার্ক রয়েছে মাত্র ৫৩টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণের ৩১টি ও ঢাকা উত্তরের ২২টি। এর বাইরে অনেক ওয়ার্ডে নেই পার্ক ও মাঠ। জনসংখ্যা অনুযায়ী বিনোদন স্থানের সংকটের মধ্যেও সংস্থা দুটি মাঠ ও পার্ক ইজারা দিচ্ছে, যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে নানা বাণিজ্যিক অবকাঠামো। এসব স্থাপনা নির্মাণের ফলে আরও কমছে পার্ক ও মাঠের জায়গা। এতে জনবহুল এই নগরীতে নাগরিক সুবিধা আরও কমছে। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজারা দেওয়ার নামে পার্ক ও মাঠগুলো ক্লাব বা কোনো নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠীর হাতে চলে যাবে। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল আরও সীমিত হয়ে যাবে।

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানের একমাত্র স্বস্তির জায়গা শহীদ মতিউর পার্ক। এটি ইজারা দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সংরক্ষিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। উন্মুক্ত পার্কটির চারদিকে দেয়াল দিয়ে ভিতরে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি রাইড ও খাবারের দোকান। পার্কটিতে প্রবেশমূল্য নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। ইজারা দিয়ে টিকিট সিস্টেম করে পার্কটিতে জনসাধারণের প্রবেশ সংরক্ষিত করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। একইভাবে বাহাদুর শাহ পার্কও ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইজারা দিয়েছে। ইজারাদার সেখানে স্থায়ী অবকাঠামো ও দোকান নির্মাণ করেছেন। এতে পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।বিস্তারিত

জাতীয়