কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি) ফেজ-২ প্রকল্পে ব্যয় ৬০৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ঘটেছে অনিয়ম। কাজ না করলেও ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এসব অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এমন সব তুঘলকি ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন শরিফের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল ওই কমিটি। তবে শাস্তি তো দূরের কথা, বরং পুরস্কৃত হয়েছেন এই কর্মকর্তা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে তাকে ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যের দাম বেশি ধরা, বিদেশ ভ্রমণ এবং গাড়ি কেনায়ও বিপুল অঙ্কের টাকা চাওয়ার মতো বিষয় আঁচ করতে পেরে অস্বাভাবিক দাম এবং ব্যয় কমিয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।
নথি ঘেঁটে দেখা যায়, এনএটিপি ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণকাজ না করে ভূতুড়ে পরিমাপ (বিল অব কোয়ানটিটি) প্রদর্শনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণে ৪২ লাখ ৫৫ হাজার এবং কারশেড নির্মাণের জন্য ১২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। যদিও এসব কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। এমন অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে। অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করে ওই কমিটি। তবে তদন্ত রিপোর্টের পরও অধিদপ্তরের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন।বিস্তারিত