কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বৈধ অস্ত্রধারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তাদের অস্ত্র নিয়ে। তাদের ছোড়া গুলিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। তবে অস্ত্রধারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটিও করতে পারছে না তারা। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও বিষয়গুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে বৈধ অস্ত্রের ব্যবসা। বৈধতার লেবাসে কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ী রীতিমতো আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছেন। তাদের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো চলে যাচ্ছে ভয়ংকর সব সন্ত্রাসীর কাছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়ার পরও এক দিনের জন্যও বন্ধ হয়নি তাদের অস্ত্রের দোকান।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি না থাকার কারণেই এমনটা ঘটছে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিষয়গুলো যাদের নিয়মিতভাবে মনিটরিং করার কথা তাদের অবহেলা না থাকলে এমনটা ঘটত না। কর্তৃপক্ষের কিছু সদস্যের দায়িত্বহীনতার সুযোগে দিনের পর দিন এমনটা চলে আসছে। তবে স্পর্শকাতর এই ব্যবসার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাটা খুব জরুরি। জানা গেছে, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬’ আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কারা কীভাবে অস্ত্রের ব্যবসা করবেন। অস্ত্র আইনের ৩৪ নম্বর ধারার ক উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি ছয় মাস পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদের মজুদ ও বেচাকেনার হিসাব সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং উক্ত পরিদর্শন প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। বিস্তারিত