আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার (১২ মে) তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি কমেছে। এ নিয়ে টানা ৩ সপ্তাহ জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে নতুন করে অর্থনৈতিক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে ভারসাম্যপূর্ণ সরবরাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তেলের দর হ্রাস পেয়েছে। এ কার্যদিবসে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের সরবরাহ মূল্য কমেছে ৮১ সেন্ট বা ১ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের (প্রায় ১৫৯ লিটার) দাম স্থির হয়েছে ৭৪ ডলার ১৭ সেন্টে।
একই কর্মদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর নিম্নমুখী হয়েছে ৮৩ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৭০ ডলার ০৪ সেন্টে।
সাপ্তাহিক ভিত্তিতে উভয় বেঞ্চমার্কের অবনমন ঘটেছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
এদিন ইউরোর বিপরীতে ইউএস ডলারের মান বেড়েছে। সাপ্তাহিক হিসাবে গত ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে মার্কিন মুদ্রার মূল্য।
যুক্তরাষ্ট্রে ঋণের সীমা নির্ধারণ নিয়ে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। এতে আরও কিছুদিন সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ। ফলে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের আবেদন বেড়েছে। তাতে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে তেল কেনা ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক এগেইন ক্যাপিটাল এলএলসির অংশীদার জন কিল্ডাফ বলেন, অর্থনীতিতে আস্থার অভাবে ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পাশাপাশি তেলের চাহিদা সম্পর্কে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: সিএনবিসি