তারা সবাই শীর্ষ ধনী। শত শত বিলিয়ন ডলারের মালিক তারা। বলা হয়ে থাকে, তাদের হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ কিন্তু তাদের হাতেই। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি, রকেট ব্যবসা, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, অনলাইন মার্কেট, টেলিকম ব্যবসা ছাড়াও কত ধরনের ব্যবসা তাদের রয়েছে সেসব জানলে অবাক হতে হয়। তারা প্রত্যেকেই ব্যবসায়ী টাইকুন। শীর্ষ ধনীরা কে কোন ব্যবসা থেকে গড়লেন টাকার পাহাড়- সেসব নিয়ে আজকের রকমারি। লিখেছেন- আবদুল কাদের
অভিজাত পোশাক, পারফিউমসহ বিলাসী পণ্যের ব্যবসা তার
ফরাসি নাগরিক বার্নার্ড আর্নল্ট হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিলাসবহুল পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও চেয়ারম্যান। এলভিএমএইচের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে লুই ভিটন, হেনেসি, মার্ক জ্যাকবস, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর, টিফানি অ্যান্ড কোম্পানি এবং সেফোরা। ১৯৮৭ সালে আর্নল্ট এলভিএমএইচ গড়ে বিলাসী পণ্যের বাজারে প্রবেশ করেন। এ কোম্পানিটিকে গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি অনেক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, আর্নল্ডের বেশির ভাগ সম্পদ আসে ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের অংশীদারিত্ব থেকে; এটি এলভিএমএইচের ৪১.৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের ৯৭.৫ শতাংশ মালিকানা বা শেয়ারের মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তাঁর পরিবার। এ ছাড়াও ওয়াইন, শ্যাম্পেন থেকে হাতঘড়ি, গয়না, কসমেটিক্স বা চামড়াজাত দ্রব্য; সব ধরনের বিলাসবহুল পণ্য বিক্রি করে আর্নল্টের প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩২.৩ বিলিয়ন ডলারের মোয়েলিস অ্যান্ড কোম্পানি। জীবনে আর্নল্ট তার বাবার নির্মাণ সংস্থা ফেরেট-সাভিনেলে কাজ করতেন। এখানে তার প্রথম ব্যবসায়িক হাতেখড়ি। ১৯৭১ সালে কোম্পানির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে একে ফেরিনেল ইনকরপোরেটেড নামের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে রূপ দেন। ১৯৮৪ সালে আর্নল্ট বিলাসী পণ্যের বাজারে বিনিয়োগ করেন। অবশেষে ক্রিশ্চিয়ান ডিওর এবং লে বন ছাড়া সব সম্পদ বিক্রি করে দেন এবং ১৯৮৭ সালে এলভিএমএইচে বড় বিনিয়োগ করেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্যমতে, বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২২২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।বিস্তারিত