মাস দুয়েক ধরে পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন উত্তরার বাসিন্দা শারমিন বেগম। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখালে তিনি আল্ট্রাসনোগ্রাম ও রক্তের কিছু পরীক্ষা দেন। শারমিন বেগম বলেন, রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসককে দেখালে তিনি জানান আমি ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছি। চিকিৎসক আমাকে শুধু কিছু ওষুধ দেন। এ ছাড়া পরিমিত খাবার, নিয়মিত হাঁটা কিংবা ব্যায়ামের কোনো পরামর্শ দেননি। এ ওষুধ খাওয়ার পরে বাধে বিপত্তি। আমার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। একসময় মলের সঙ্গে রক্ত আসা শুরু হয়। এতে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। পরে ওই হাসপাতালেরই অন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি জানান, ওষুধের কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে। ওষুধের কারণে সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্যে মলদ্বারের স্নায়ু ও মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রক্ত বের হচ্ছে। সবকিছু শুনে ওই চিকিৎসক কোনো ওষুধ না দিয়ে পরিমিত খাবার ও ব্যায়ামের বেশ কিছু পরামর্শ দেন। বিশেষ করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটতে বলেন। শারমিন বলেন, এক রোগের চিকিৎসা করাতে এসে আমি আরও জটিল সমস্যায় পড়ে গেছি। শুধু শারমিন বেগম নন, দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। প্রাথমিক অবস্থায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার সিরোসিস, এমনকি লিভার ক্যান্সারও হতে পারে। উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও লিভার রোগ সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ মানুষ ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রতি চারজনের একজন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। ফ্যাটি লিভার মানে যকৃতে চর্বি জমে যাওয়া এবং যকৃৎ একটু বড় হয়ে যাওয়া। ফ্যাটি লিভারের একটি বিপজ্জনক পরিণতি হলো ‘নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস’ (সংক্ষেপে ন্যাশ)।বিস্তারিত