আগামী সাত মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর মধ্যেই আসলো যুক্তরাষ্ট্র্রের ভিসানীতি। ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল, আমলা সবপক্ষই সমভাবে চাপে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমে প্রশাসন ও বিচারবিভাগের উপরক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণ কমতে পারে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে সরকারকে আগের চাইতে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে। একইভাবে বিএনপিকেও মহাচাপ অনুভব করতে হবে, তারা যে নির্বাচন বয়কটের চিন্তা করছে এবং আন্দোলনের ছক তৈরি করছে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরতে হবে এবং নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ছাড়া মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীকেও এখন থেকে সতর্কতা থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক কর্মসূচি, মানুষের নিরাপত্তা এবং মানবিক বিষয়গুলোতে মানুষের অধিকার নিশ্চিতে ভূমিকা দেখাতে হবে। নেতিবাচক কোনো কাজ সম্পাদিত হলে ব্যক্তির সাথে সাথে পুরো দেশকেও সেই চাপের মুখোমুখি হতে হবে। সমপ্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই ভিসানীতি নিষেধাজ্ঞার চাইতেও কঠিন হতে পারে। নিকট অতীতে কেবল উগান্ডা বা নাইজেরিয়ার মতো অত্যন্ত অনুন্নত গণতন্ত্র কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। আবার যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত অনিয়মকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তার বিস্তর অনেক বেশি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের ঘোষণার পরদিন গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলও সতর্ক থেকেছেন, একই নির্বাচন কমিশনের যে অগ্নিপরীক্ষা ছিল তারাও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। এদিকে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও ক্ষমতাসীন দলসহ বড় তিন দল মার্কিন ডাকে ঘোষণার পরদিনই এক টেবিলে বসতে বাধ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির অতীতে অগ্নি সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরেন আর বিএনপি ক্ষমতাসীন দলের হস্তক্ষেপে গণতন্ত্র বিপর্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে মানুষ যোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজে নিতে পারবেন বলে জানান জাতীয় পার্টি। মার্কিন এই ঘোষণাকে আওয়ামী লীগ, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে ‘স্বাগত’ জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর ভিসানীতি ঘোষণার পর সরকার, বিরোধীদলসহ সারা দেশের মানুষের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।বিস্তারিত