২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ, কম্যুনে ডি মিলানোর ‘ঊয়ঁধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং ধহফ পরারষ ৎরমযঃং’ কমিটির প্রেসিডেন্ট ডিয়ানা মার্কি এবং কম্যুনে দি মিলানোর কাউন্সেলর কারমেলা রজ্জা মিলানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। মধ্যরাতের শ্রদ্ধানিবেদনের এই আয়োজনে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, মিলান স্থানীয় একটি হলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্যুনে ডি মিলানোর ‘ঊয়ঁধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং ধহফ পরারষ ৎরমযঃং’ কমিটির প্রেসিডেন্ট ডিয়ানা মার্কি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ, ডিয়ানা দি মার্কি, (ডেমোক্রেটিক পার্টির এম.পি. এলোওনরা চিমব্রো এর প্রেরিত শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়) , ফ্রান্স কনসাল জেনারেল অলিভিয়ের ব্রোসেত, ভারতীয় কনসাল জেনারেল চরনজিৎ সিং, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, ইতালিয়ান স্কুল পোলো ষ্টার্ট-১ এর শিক্ষিকা আরকানজেলা মাস্ত্রোমার্কো এবং সি.পি.আই.এ ইতালিয় ভাষা শিক্ষা স্কুলের প্রধান পিয়েত্রো কাভানইয়া ।
সভাপতির ভাষণে কনসাল জেনারেল ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৭ এর প্রতিপাদ্য ‘ঞড়ধিৎফং ঝঁংঃধরহধনষব ভঁঃঁৎবং ঃযৎড়ঁময গঁষঃরষরহমঁধষ ঊফঁপধঃরড়হ’ এর আলোকে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা এবং ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাতৃভাষায় পঠন পাঠন তথা বহুভাষিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য ইতালিসহ সকল দেশকে আহ্বান জানান।
ভারত, ফ্রান্স, মরক্কো, কুয়েত,মিশন, ইরান, বুরকিনা ফাসো এর কনসাল জেনারেলগণ, আলজেরিয়ার কনসাল, মেক্সিকোর ভাইস কনসাল এবং ওমানের অনারারি কনসালসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইতালিয় দর্শক এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিগণ উপস্থিত ছিলেন।