ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির খবর নেই। আমদানি, পাইকারি, খুচরা তিন ধাপেই যে যার মতো বাড়াচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও সরবরাহ কম থাকার ছুতায় ব্যবসায়ীরা দর বাড়ালেও তথ্য-উপাত্ত বলছে ভিন্ন কথা। সমকালের অনুসন্ধান বলছে, বিশ্ববাজার ও ডলারের দাম কিছুটা অস্থির থাকলেও এটিকে ‘ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনকে চাপে রাখতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে আমদানি; কমানো হয়েছে উৎপাদন। ঘাটতি তৈরি করা হয়েছে সরবরাহে।
দেশে এ বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে অপরিশোধিত সয়াবিন ১৩ শতাংশ বেশি এসেছে। চার মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি সয়াবিনের দামও কমেছে ১১০ থেকে ১১৫ ডলার। এ হিসাবে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম বিশ্ববাজারে কমেছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। তবে দেশের বাজারের চিত্র পুরো উল্টো। এখানে সয়াবিনের দাম লিটারে বেড়েছে ১২ টাকা! চিনির ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। তবে সয়াবিনের চেয়ে এ বছরের প্রথম চার মাসে চিনি কিছুটা কম এসেছে। বিশ্ববাজারেও দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু সবশেষ চার মাসে বিশ্ববাজারে চিনির দাম টনপ্রতি গড়ে বেড়েছে ৫৫ থেকে ৬০ ডলার। প্রতি ডলারের দাম ১০৬ থেকে ১০৭ টাকা ধরলে চিনির দাম কেজিপ্রতি বাড়ার কথা ছয় থেকে সাড়ে ছয় টাকা। তবে চিনি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।বিস্তারিত