প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ, হাঙ্গেরি, মরিসাস, পেরু ও ভানুয়াতু স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘ সদরদপ্তর, নিউইয়র্কস্থ ইউনেস্কো অফিস ও নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় সময় ২১ শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিভেদসংকুল পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্যে শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বাড়াতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রদূত ঢাকার রাজপথে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির বেদনাদায়ক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ইনফরমেশনের প্রধান ক্রিস্টিনা গ্যালাক বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা, সহিষ্ণুতা ও সংলাপ বৃদ্ধিতে জাতিসংঘ বহুভাষাবাদের প্রচারকে আরও তরান্বিত করছে। তিনি বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা ৫০০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ইউএন রেডিও ৬০টি ভাষায় জাতিসংঘের কর্মকান্ড সারা বিশ্বে তুলে ধরছে।
জেনারেল এসেম্বিলি, কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট এবং ওয়াইড কো-অর্ডিনেটর ফর মাল্টিলিঙ্গুয়ালিজম বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড মাতৃভাষার উন্নয়নে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাণী পড়ে শোনানো হয়। জাতিসংঘে হাঙ্গেঁরি, মরিসাস, পেরু ও ভানুয়াতুর স্থায়ী প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত সদস্য দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধিগণ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালি ও মিডিয়া প্রতিনিধিগণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়