নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বত্রই কৌতূহল। কারণ, বিরোধী দলগুলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চায়। আর এ জন্য তারা বছরে পর বছর রাজপথে আন্দোলনে রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। তারা কোনোভাবেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে রাজি নয়। এই একটি ইস্যুই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে মুখ্য ইস্যু। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই বিরোধীয় পক্ষ দুই মেরুতে অবস্থান করছে। কিন্তু উভয় পক্ষের এই অনঢ় অবস্থান শেষ পর্যন্ত নড়চড় হতে পারে বলে কিছুটা আভাস পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে হয়তো বরফ গলবে। কিন্তু ঠিক কী ধরনের ছাড় দেবে দলগুলো তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই। তবে ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করার কোনো আগ্রহ না দেখালেও সাম্প্রতিক চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে সংলাপে বসার পক্ষে নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও দায়িত্বশীল মন্ত্রী। এদিকে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগোচ্ছে, কূটনৈতিক অঙ্গনে দৌড়ঝাপ ততই বাড়ছে।
বিশেষ করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটি, ষ এরপর পৃষ্ঠা ১১ কলাম ১ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। কোনো কোনো দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। গতকাল বুধবারও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয় তা সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতে পারেননি গণমাধ্যমকর্মীরা। রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে বিরোধীয় দুটি পক্ষ কে কতটুকু ছাড় দেবে না দেবে সেটি এখনো দৃশ্যমান হয়নি। তবে সংলাপে বলে আলাপ-আলোচনার একটি পথ খোলার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের নমনীয় মনোভাবের বিষয়ে বিএনপির মনোভাবে হচ্ছে— আগে আওয়ামী লীগ নিজেরা ঠিক করুক তারা আসলে কী চাচ্ছে, এরপর এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবে বিএনপি।বিস্তারিত