আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে অনড় অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। কেউ ছাড় দিতে রাজি নয়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ‘সংলাপ’র বিকল্প নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সংলাপ ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুর ইতিবাচক বক্তব্যে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা পায়। গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে-তার এমন বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয় সব মহল। সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীও সংলাপ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানান।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনায় আসে সংলাপ। শিগগিরই তারা এক টেবিলে বসবেন বলে অনেকেই আশবাদী হয়ে উঠেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমু তার আগের অবস্থান থেকে সরে যান। বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ক্ষমতাসীন দলের দুই প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কৌশলগত কারণে তারা সংলাপ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ওই নেতারাও মনে করেন বর্তমান সংকট নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই। সংলাপ ইস্যুকে রাজনীতির মাঠে ছেড়ে দিয়ে তারা বিএনপিসহ সব মহলের মনোভাব জানার চেষ্টা করছেন। সবকিছু ইতিবাচক হলে সংলাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যোগ নিতে পারে ক্ষমতাসীনরা। এক্ষেত্রে বিএনপিকে আলোচনায় বসাতে পর্দার অন্তরালে তৃতীয় কোনো পক্ষের সহযোগিতাও নেওয়া হতে পারে। তবে হঠাৎ করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সংলাপ ইস্যু সামনে আনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে মতানৈক্য
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমুর ইউটার্ন * আলোচনার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি -ওবায়দুল কাদের * সংলাপের কোনো বিকল্প নেই -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তারিত