বেসরকারি স্কুল শিক্ষক মুুহিবুল হাসানের সঙ্গে দেখা খিলগাঁও বাজারে। বললেন, মাসের শুরুতে বাড়ি ভাড়ার পেরেশানির সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে প্রাত্যহিক বাজার। একটা সময় ছিল ৫০০ বা ১ হাজার টাকায় ব্যাগ ভর্তি শাক, সবজি দু-এক পদের মাছের সঙ্গে চাল, ডালও কেনা যেত। এখন তো ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না। ডিমের ডজনও ১৪৫-১৫০ টাকা। কই, পাঙাশ, তেলাপিয়াও ছোঁয়া যায় না। এসব মাছও এখন ২২০-২৫০ টাকা কেজি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো জিনিসের দাম বাড়ছে। বেতনের প্রায় অর্ধেকই চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল। দুটোই বেড়েছে। তিনি বলেন, এরপর দুই সন্তানের স্কুলের বেতন গত বছর ছিল ৫ হাজার। এখন সেটা ৭ হাজার। ছয় মাস আগে বাবা-মায়ের ওষুধের জন্য রাখতেন ৩ হাজার টাকা, এখন সেটা ৫ হাজার টাকা। যাতায়াত খরচের জন্য আলাদা রেখে দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। যা আগে ৩ হাজার টাকায় চলে যেত। খাওয়া বাবদ যেখানে ৬-৭ হাজার টাকায় ভালোভাবে চলা যেত সেখানে এখন ১০-১২ হাজার টাকায়ও চলা যায় না। সঞ্চয় বলতে কিছুই করতে পারি না। এখন তো আর ঋণ করারও জায়গা নেই। এ ছাড়া ঋণ করলে তা শোধ করব কীভাবে? যার ফলে রিকশায় ওঠা ছেড়ে দিয়েছি। একই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। তাও জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।বিস্তারিত