৪০ ঋণখেলাপির কাছেই দুই ব্যাংকের পাওনা সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

৪০ ঋণখেলাপির কাছেই দুই ব্যাংকের পাওনা সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে পাওনা ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। নগদ আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩৩৫ কোটি টাকা। খেলাপিরা দিয়েছে মাত্র ৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩ শতাংশ। আর সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে পাওনা ৪ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। নগদ আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩০০ কোটি টাকা। খেলাপিরা দিয়েছে মাত্র ১১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪%।

তবে উলটো চিত্র ছোট এবং মাঝারি খেলাপির ক্ষেত্রে। পূবালী ব্যাংকের খেলাপি থেকে ব্যাংকটির পাওনা ৩ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। এখানেও আদায়ের লক্ষ্য ৩৩৫ কোটি টাকা। আদায় ৪৮১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যের ১৪৪%। অর্থাৎ ছোটরা টাকা দিলেও বড় ঋণখেলাপিরা টাকা দিচ্ছেন না।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের অন্যান্য খেলাপি থেকে ব্যাংকটির পাওনা ৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। আদায়ের লক্ষ্য ৭০০ কোটি টাকা। আদায় ৪৩০ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যের ৬১%। অর্থাৎ ছোটরা টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সে তুলনায় শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রবণতা খুবই কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের ওপর করা ২০২২ সালের ডিসেম্বরভিত্তিক একটি প্রতিবেদন।বাকি দুই ব্যাংকের চিত্রও প্রায় কাছাকাছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের অবলোপন করা ঋণের অংক ১৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা বা ১০ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকগুলো লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি। এই চার ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে আদায় করেছে মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে চার ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের তুলনায় এই আদায়ের অংক ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। একইভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে চার ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছিল ৫৯১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর কম আদায় হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য