সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ারমুক জেলায় স্থানীয় সময় শনিবারের এই হামলায় ২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর হুমকি দেওয়ার একদিন পর সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ জেনারেল এমন ঘটনা ঘটালেন। বিবিসি
সুদানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ফলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। জুনের শুরুতে আরএসএফ রাজধানীর ইয়ারমুকের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করে।
এদিকে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় যুদ্ধরত পক্ষগুলো। সৌদি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা এ কথা জানায়।
সুদানে ক্ষমতা নিয়ে ভয়াবহ এই সংঘাতে নিহত মানুষের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা পাওয়া কঠিন। তবে গোলাগুলিতে অনেক বেসামরিক নাগরিকসহ ১ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
যুদ্ধ থেকে মানুষকে পালাতে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, তবে এগুলো কোনো পক্ষই সঠিকভাবে মানেনি। সম্প্রতি মায়ো, ইয়ারমুক ও ম্যান্ডেলা এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আরএসএফ। তবে সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদে পালিয়ে গেছে। সেখানকার চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলো অত্যধিক চাপে পড়েছে এবং সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই সহিংসতা সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুই দশক ধরে চলা সংঘাতকে আবার সামনে এনেছে।