প্রচলিত অপরাধ দমনের পাশাপাশি বহুমাত্রিক অপরাধ দমন করতে গিয়ে এমনিতেই বাড়তি দায়িত্বের খড়গ রয়েছে পুলিশের ওপর। এরই মধ্যে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসেবে আর মাত্র ক’মাস পরই নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে পুলিশকে। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সম্প্রতি পুলিশের অপরাধবিষয়ক একটি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় রাজপথে তাদের শক্ত অবস্থানের শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিটি নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অসংখ্য ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক হুমকি-ধমকির ধরন দেখে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করছেন, এবারের নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে না। তবে সরাসরি রাজনৈতিক অস্থিরতার হুমকি এখনো না পেলেও যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম করেই প্রস্তুত করা হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। যাতে যে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে বেগ পেতে না হয়। ইতোমধ্যে পুলিশে নির্বাচনি রদবদলও হয়েছে বলে কথিত রয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের ২৯ কর্মকর্তাকে বদলি করার মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশি সক্ষমতার সমন্বয় করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ পর্যায়ে ২২ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও সাত ডিআইজিকে বদলি করা হয়। নির্বাচনের আগে এ ধরনের বদলি আরও হতে পারে।বিস্তারিত