সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সামনে রেখে ভেতরে-বাইরে বহুমুখী চাপে জর্জরিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি একাট্টা। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক শক্তি মিলে সরকারের ওপর যে চাপ তৈরি করেছে, তাতে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে গেলে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে আওয়ামী লীগকে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দলের অভ্যন্তরে চরম দ্বন্দ্ব-কোন্দল। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে এটিই ভাবাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
হাইকমান্ডের মতে, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না। কিন্তু গত পনেরো বছরে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, নিজের অবস্থান শক্ত করতে অন্য দলের লোক ভেড়ানো এবং তাদের দলীয় পদ-পদবি পাইয়ে দেওয়ার মতো ছোটখাটো অনেক ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি ও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং তৈরি হয়েছে তাতে শতাধিক নির্বাচনী আসনে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার একজন মন্ত্রীও রয়েছেন। যার বিরুদ্ধে রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন এবং ভূমিদস্যুতার অভিযোগ। এই অনিয়মের কথা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন তার আসনের দলীয় নেতাকর্মীরা। বিতর্কীত এবং জনবিচ্ছিন্ন এমপির তালিকায় সারাদেশে রয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। যাদের আসনে বিএনপি কিংবা অন্য কোনো বিরোধী দল নয়, আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগ।বিস্তারিত