ঈদুল আজহার আর মাত্র সাত দিন বাকি থাকলেও বরিশালের পশুর হাটগুলো এখনো জমেনি। কোরবানির পশুর হাটে নানা বিড়ম্বনা, আগেভাগে পশু কিনলে পশুর পরিচর্যা কিংবা রাখার জায়গা সংকটের কারণে শহুরে জীবনের অনেকেই ছুটছেন স্থানীয় বিভিন্ন খামারে। এসব খামারি পশু কোরবানির আগের দিন ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছেও দিচ্ছেন। এবার গত বারের চেয়ে পশুপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বরিশাল জেলায় এবার চাহিদার বেশি কোরবানির পশু রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ দফতর। নিরাপদ পশু নিশ্চিত করতে নজরদারি চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের হিসাবে এবার বরিশাল জেলায় ৯০ হাজার ৯২৮টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। জেলার ৬ হাজার ৪৩০টি খামারে কোরবানির পশু রয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৪০৮টি। সে হিসাবে কোরবানির পরও উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ১৬ হাজার পশু। শহরের যান্ত্রিক জীবনে আগেভাগে কোরবানির পশু কেনার রেওয়াজ কমে যাচ্ছে। পশুর হাটের বিড়ম্বনা এড়াতে এখন অনেকেই দেশীয় বিভিন্ন গো খামারে ছুটছেন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পালিত ষাঁড় বেছে নিচ্ছেন তারা। সুবিধামতো সময়ে পশু কিনে রেখে যাচ্ছেন খামারে। কোরবানির আগের দিন ক্রেতার ঠিকানায় পশু পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। নানা অজুহাতে আগের চেয়ে দাম অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সাইফুল ইসলাম। খামার মালিকরা জানিয়েছেন, কোরবানির বাজার উদ্দেশ্য করেই খামারে পশু পালন করেন তারা। এসব খামারে দেশীয় জাতের গরু ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে শাহীওয়াল ও ফিজিশিয়ান গরু। ৭৫ কেজি থেকে সাড়ে ৫০০ কেজি ওজনের এসব পশু বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ লাখ টাকায়। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পশুপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম জানান, এবার কোরবানির পরও পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বরিশালে। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় কোরবানির পশুর বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ নিরাপদ পশুর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।