রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বাঁশের খুঁটি ও শামিয়ানা টাঙানোসহ সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন ইজারাদাররা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী রবিবার থেকে হাট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এবার আগেই হাটে পশু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। তবে এখনো বেচাকেনা শুরু হয়নি। আর হাটগুলো কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে হাটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারসহ থাকবে সব ধরনের ব্যবস্থা। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আট হাটে হবে ডিজিটাল লেনদেন। আগামী ২৯ জুন দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। সে হিসাবে ২৫ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক বিক্রি শুরু হবে। তবে ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ হাটের মধ্যে ১৯ হাটের প্রস্তুতি সেরেছেন ইজারাদাররা। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের খিলক্ষেত থানাধীন মস্তুল চেকপোস্ট-সংলগ্ন পশ্চিমপাড়ার খালি জায়গার হাট এখনো ইজারার কার্যক্রম চলছে। এর বাইরে নয়টি হাটের ইজারা সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটিও ১০টি হাটের ইজারা শেষ করেছে। সরেজমিনে সাঈদনগর পশুর হাটে দেখা যায়, অস্থায়ী হাটের খুঁটি ও তাঁবুর কাজ শেষ। পাইকারদের থাকার জন্যও সুব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক গরু এলেও ক্রেতারা আসছেন না। কেননা রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পশুর হাট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। একই অবস্থা দেখা গেছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির মাঠের অস্থায়ী হাটেও। আফতাবনগর হাটে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে এবং এলাকার খালি জায়গাগুলোতে খুঁটি ও শামিয়ানা টাঙানোর কাজ শেষ করেছেন কর্মীরা। ইতোমধ্যে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর থেকে ব্যাপারীরা ট্রাকে করে গরু নিয়ে এসেছেন। রাস্তার পাশে এবং খালি জায়গায় খুঁটির সঙ্গে গরু বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। একই অবস্থা মেরাদিয়া হাটেরও। তবে কিছু স্থানে লাইটিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। আমুলিয়া ও সারুলিয়া হাটের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন ইজারাদাররা। হাট দুটোর অনেক স্থানে পশু উঠেছে।বিস্তারিত